literature
Sunday, March 3, 2019
Saturday, October 7, 2017
Electron shells[edit]
Each shell is subdivided into subshells, which are made up of orbitals, each of which has electrons with different angular momentum. Each orbital in a shell has a characteristic shape, and is named by a letter.Friday, April 28, 2017
http://www.dailysangram.com/post/207507-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8--%E0%A6%93-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8
http://www.somewhereinblog.net/blog/benqt60/29216268
http://www.somewhereinblog.net/blog/benqt60/29216268
ওথেলো
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দি ট্রাজেডি অফ ওথেলো, দি মুর অফ ভেনিস হল উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের লিখা একটি ট্রাজেডি নাটক। ধারনা করা হয় এই ট্রাজেডিটি সেক্সপিয়ার ১৬০৩ সালে লিখেছিলেন এবং এটি জিওভান্নি বোক্কাচ্চোর শিষ্য জিওভানি বাতিস্তা জিরান্ডির একটি ইতালিয়ান ছোট গল্প উন ক্যাপিতানো মোরো (একজন মুরিশ ক্যাপটেন) এর ছায়া অবলম্বনে রচিত যা ১৫৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। ট্রাজেডিটি প্রধান চারটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে প্রধান চরিত্রটি হল ওথেলো, যেকিনা ভেনিসিয়ান সেনাবাহিনীর একজন মুরিশ জেনারেল (মুর- মধ্যযুগে মরোক্কোর মুসলিম অধিবাসী) ও তার স্ত্রী ডেসডেমনা। এছাড়া তার ল্যেফটেন্যান্ট ক্যাসিও ও তার বিশ্বস্ত সহচর আইগো। বর্ণবাদ, ঈর্ষা ও ভালবাসার অভিনব সংমিশ্রন এবং বর্তমান সময়ে এর প্রাসঙ্গিকতার জন্য এই ট্রাজেডিটি আজও থিয়েটার, নাটক এবং অপেরাতে বেশ জনপ্রিয়।
Thursday, April 27, 2017
পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দক্ষনিকতা ও রুমান্টিকতা হ্রাস পেয়ে সাধরন মানুষের যে জীবন চিত্র অংকন করেছেন তা আলোচনা কর।
রবীন্দ্রনাথকে বহুভাবে আবিষ্কার করবার কলা-কৌশল বাঙালি বহুদিন থেকে কখনো এককভাবে কখনো সামগ্রিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অব্যাহত প্রচেষ্টা ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথকে আরো মহিমান্বিত ও ঔজ্জ্বল্য দান করেছে। রবীন্দ্রনাথ সর্বকালে সবসময়ই আধুনিক। স্মৃতিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তিনি। বিশ্বপ্রকৃতির মাঝে আমরা বারবার রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাই। সর্বপ্রাণবাদের দ্যোতনা তাঁর চিন্তা ও সাধনার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রকৃতি থেকে শিশুচিত্তের যে আনন্দ জয় করা যায় সেদিকে রবীন্দ্রনাথ বারবার তাঁর দৃষ্টিকে প্রসারিত করেছেন।
পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আত্মভোলা শিশুও যে প্রকৃতির মায়ায় ঘর থেকে বের হয়ে এসে আর গৃহে ফিরতে চায়না তার মনের ভাবকে বেশ মুন্সিয়ানার সঙ্গে তিনি উপস্থাপন করেছেন।
শিশুদের মনের জগতকে তিনি যেন নিজের মানসচক্ষু দিয়ে দেখতেন_
তুমি বলো তিনু প্রশ্রয় পায় আমার কাছে
তাই রাগ কর তুমি।
ওকে ভালবাসি,
তাই ওকে দুষ্টু বলে দেখি,
দোষী বলে দেখি নে।
তুমি বলো তিনু প্রশ্রয় পায় আমার কাছে
তাই রাগ কর তুমি।
ওকে ভালবাসি,
তাই ওকে দুষ্টু বলে দেখি,
দোষী বলে দেখি নে।
পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ পাঠ করলে রবীন্দ্রনাথের জীবনের শুরু থেকে যৌবনের যে জয়গান এবং কবিতার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়।
রবীন্দ্রনাথ আমাদের অবিচ্ছিন্ন চিন্তা ও ভাবের খোরাক যুগিয়েছেন। প্রেম ও প্রকৃতি বিষয়ক প্রত্যক্ষ বাস্তবতার আলোকে তিনি গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে প্রতিটি কবিতার সারমর্ম আপন মহিমায় পাঠকের জন্য উপস্থাপন করেছেন।
'সহযাত্রী' কবিতাটির কয়েকটি চরণ এখানে তুলে ধরা হলো:
১. সুশ্রী নয় এমন লোকের অভাব নেই জগতে
এ মানুষটি তার চেয়েও বেশি, এ অদ্ভুত।
সারমর্ম ব্যাখ্যা করলে কবিতাটি বেশ অর্থবোধক।
২. বিবিধ রচনায় ফাঁক থাকে
থাকে কোথাও অস্ফুটতা
১. সুশ্রী নয় এমন লোকের অভাব নেই জগতে
এ মানুষটি তার চেয়েও বেশি, এ অদ্ভুত।
সারমর্ম ব্যাখ্যা করলে কবিতাটি বেশ অর্থবোধক।
২. বিবিধ রচনায় ফাঁক থাকে
থাকে কোথাও অস্ফুটতা
পুনশ্চ গ্রন্থে 'বাঁশি' একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা।
১. কিনু গোয়ালার গলি/দোতলা বাড়ির/ লোহার-গরাদে-দেওয়া একতলা ঘর/ পথের ধারেই
২. বেতন পঁচিশ টাকা/ সদাগরি আপিসের কনিষ্ঠ কেরানি/ খেতে পাই দত্তদের বাড়ি/ ছেলেদের পড়িয়ে/
১. কিনু গোয়ালার গলি/দোতলা বাড়ির/ লোহার-গরাদে-দেওয়া একতলা ঘর/ পথের ধারেই
২. বেতন পঁচিশ টাকা/ সদাগরি আপিসের কনিষ্ঠ কেরানি/ খেতে পাই দত্তদের বাড়ি/ ছেলেদের পড়িয়ে/
'বাঁশি' কবিতা পাঁচ স্তবকের বিষয়টিতে একেবারে জীবনঘনিষ্ঠ। ধলেশ্বরী নদী তীরে পিসিদের গ্রাম/তাঁর দেওরের মেয়ে/অভাগার সাথে তার বিবাহের ছিল ঠিকঠাক/লগ্নশুভ, নিশ্চিত প্রমান পাওয়া গেল/সেই লগ্নে এসেছি পালিয়ে/মেয়েটা তো রক্ষে পেলে/আমি তথৈবচ।
সাহসহীনতার কারণে এবং মনের দৈন্যের কারণেই হোক নায়ক চরিত্রের ভেতর পলায়নবৃত্তি মনোভাব বারবার উঠে এসেছে। দৃঢ়তা নেই। তারপর সময় ও পারিপাশ্বর্িকতার ছাপ এখানে পরিস্ফুট। জগতের সকল পূর্ণতা থেকে যেন সে বহুদূরে। এই যে একজন মানুষের মনের দৈন্য ও সবকিছু না পাওয়ার যে বেদনা তা এ কবিতায় ধ্রুপদী ঢংয়ে এগিয়েছে পাঠকের হৃদয়ের ভেতরে। মন যেন ঢেউ তোলা স্পন্দন। আকাঙ্ক্ষার যেন কোন শেষ নেই।
সাহসহীনতার কারণে এবং মনের দৈন্যের কারণেই হোক নায়ক চরিত্রের ভেতর পলায়নবৃত্তি মনোভাব বারবার উঠে এসেছে। দৃঢ়তা নেই। তারপর সময় ও পারিপাশ্বর্িকতার ছাপ এখানে পরিস্ফুট। জগতের সকল পূর্ণতা থেকে যেন সে বহুদূরে। এই যে একজন মানুষের মনের দৈন্য ও সবকিছু না পাওয়ার যে বেদনা তা এ কবিতায় ধ্রুপদী ঢংয়ে এগিয়েছে পাঠকের হৃদয়ের ভেতরে। মন যেন ঢেউ তোলা স্পন্দন। আকাঙ্ক্ষার যেন কোন শেষ নেই।
মানসী কাব্য অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ ঠাবুরের প্রেম ও সৌন্দর্যের চেতনার পরি চয় দেও মানসী
মানসী কাব্য অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ ঠাবুরের প্রেম ও সৌন্দর্যের চেতনার পরি চয় দেও
মানসী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যৌবনকালে রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশকাল ১০ পৌষ, ১২৯৭ (১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ)। এই কাব্যগ্রন্থের অনেকগুলি কবিতা গাজিপুরে রচিত হয়।
এই গ্রন্থের অনেকগুলি কবিতায় যুক্তাক্ষরকে দুই-অক্ষর-স্বরূপ গণ্য করা হইয়াছে
যথা— নিম্নে যমুনা বহে স্বচ্ছ শীতল ; উধেবর্ণ পাষাণতট, তাম শিলাতল
বিক্ষাত এ কাব্যে ৬৬টি কবিতা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন।
মানসী/
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী!
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।
সঁপিয়া তোমার ‘পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।
সঁপিয়া তোমার ‘পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
অনন্ত_প্রেম_(মানসী)
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
মায়া_(মানসী)
বৃথা এ বিড়ম্বনা!
কিসের লাগিয়া এতই তিয়াষ,
কেন এত যন্ত্রণা!
কিসের লাগিয়া এতই তিয়াষ,
কেন এত যন্ত্রণা!
মৌন_ভাষা
আঁখি দিয়ে যাহা বল সহসা আসিয়া কাছে
সেই ভালো, থাক্ তাই, তার বেশি কাজ নাই—
সেই ভালো, থাক্ তাই, তার বেশি কাজ নাই—
প্রকাশবেদনা
আপন প্রাণের গোপন বাসনা
টুটিয়া দেখাতে চাহি রে—
হৃদয়বেদনা হৃদয়েই থাকে,
ভাষা থেকে যায় বাহিরে।
শুধু কথার উপরে কথা,
নিষ্ফল ব্যাকুলতা।
বুঝিতে বোঝাতে দিন চলে যায়,
ব্যথা থেকে যায় ব্যথা।
টুটিয়া দেখাতে চাহি রে—
হৃদয়বেদনা হৃদয়েই থাকে,
ভাষা থেকে যায় বাহিরে।
শুধু কথার উপরে কথা,
নিষ্ফল ব্যাকুলতা।
বুঝিতে বোঝাতে দিন চলে যায়,
ব্যথা থেকে যায় ব্যথা।
শ্রান্তি
কত বার মনে করি পূর্ণিমানিশীথে
স্নিগ্ধ সমীরণ,
নিদ্রালস আঁখি-সম ধীরে যদি মুদে আসে
এ শ্রান্ত জীবন।
গগনের অনিমেষ জাগ্রত চাঁদের পানে
মুক্ত দুটি বাতায়নদ্বার—
স্নিগ্ধ সমীরণ,
নিদ্রালস আঁখি-সম ধীরে যদি মুদে আসে
এ শ্রান্ত জীবন।
গগনের অনিমেষ জাগ্রত চাঁদের পানে
মুক্ত দুটি বাতায়নদ্বার—
ব্যক্ত_প্রেম
সেই কুহরিত পিক শিরীষের ডালে,
প্রভাতে সখীর মেলা, কত হাসি কত খেলা—
কে জানিত কী ছিল এ প্রাণের আড়ালে।
বসন্তে উঠিত ফুটে বনে বেলফুল,
কেহ বা পরিত মালা, কেহ বা ভরিত ডালা,
করিত দক্ষিণবায়ু অঞ্চল আকুল।
প্রভাতে সখীর মেলা, কত হাসি কত খেলা—
কে জানিত কী ছিল এ প্রাণের আড়ালে।
বসন্তে উঠিত ফুটে বনে বেলফুল,
কেহ বা পরিত মালা, কেহ বা ভরিত ডালা,
করিত দক্ষিণবায়ু অঞ্চল আকুল।
গুপ্ত_প্রেম
তবে পরানে ভালোবাসা কেন গো দিলে
রূপ না দিলে যদি বিধি হে!
পূজার তরে হিয়া উঠে যে ব্যাকুলিয়া,
পূজিব তারে গিয়া কী দিয়ে!
মনে গোপনে থাকে প্রেম, যায় না দেখা,
কুসুম দেয় তাই দেবতায়।
দাঁড়ায়ে থাকি দ্বারে, চাহিয়া দেখি তারে,
কী ব’লে আপনারে দিব তায়?
রূপ না দিলে যদি বিধি হে!
পূজার তরে হিয়া উঠে যে ব্যাকুলিয়া,
পূজিব তারে গিয়া কী দিয়ে!
মনে গোপনে থাকে প্রেম, যায় না দেখা,
কুসুম দেয় তাই দেবতায়।
দাঁড়ায়ে থাকি দ্বারে, চাহিয়া দেখি তারে,
কী ব’লে আপনারে দিব তায়?
বঙ্গবীর
দুই ভাই মোরা সুখে সমাসীন,
মেজের উপরে জ্বলে কেরাসিন,
পড়িয়া ফেলেছি চ্যাপ্টার তিন—
দাদা এমে, আমি বিএ।
দুই ভাই মোরা সুখে সমাসীন,
মেজের উপরে জ্বলে কেরাসিন,
পড়িয়া ফেলেছি চ্যাপ্টার তিন—
দাদা এমে, আমি বিএ।
Subscribe to:
Posts (Atom)