Thursday, April 27, 2017

মানসী কাব্য অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ ঠাবুরের প্রেম ও সৌন্দর্যের চেতনার পরি চয় দেও মানসী

মানসী কাব্য অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ ঠাবুরের প্রেম ও সৌন্দর্যের চেতনার পরি চয় দেও
মানসী
লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মানসী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যৌবনকালে রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশকাল ১০ পৌষ১২৯৭ (১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ) এই কাব্যগ্রন্থের অনেকগুলি কবিতা গাজিপুরে রচিত হয়।
এই গ্রন্থের অনেকগুলি কবিতায় যুক্তাক্ষরকে দুই-অক্ষর-স্বরূপ গণ্য করা হইয়াছে
 যথা— নিম্নে যমুনা বহে স্বচ্ছ শীতল ; উধেবর্ণ পাষাণতটতাম শিলাতল 
বিক্ষাত এ কাব্যে ৬৬টি  কবিতা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন।
মানসী/
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী!
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।
সঁপিয়া তোমার ‘পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
অনন্ত_প্রেম_(মানসী)
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
        শত রূপে শত বার

জনমে জনমেযুগে যুগে অনিবার।
    চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়

        গাঁথিয়াছে গীতহার,

    কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,

        নিয়েছ সে উপহার

জনমে জনমেযুগে যুগে অনিবার।
মায়া_(মানসী)
        বৃথা  বিড়ম্বনা!
কিসের লাগিয়া এতই তিয়াষ,
        কেন এত যন্ত্রণা!
মৌন_ভাষা
আঁখি দিয়ে যাহা বল সহসা আসিয়া কাছে
সেই ভালোথাক্‌ তাইতার বেশি কাজ নাই
প্রকাশবেদনা
আপন প্রাণের গোপন বাসনা
  টুটিয়া দেখাতে চাহি রে

হৃদয়বেদনা হৃদয়েই থাকে,
  ভাষা থেকে যায় বাহিরে।

শুধু কথার উপরে কথা,
  নিষ্ফল ব্যাকুলতা।

বুঝিতে বোঝাতে দিন চলে যায়,
  ব্যথা থেকে যায় ব্যথা।
শ্রান্তি
কত বার মনে করি পূর্ণিমানিশীথে
                  স্নিগ্ধ সমীরণ,

নিদ্রালস আঁখি-সম ধীরে যদি মুদে আসে
                   শ্রান্ত জীবন।

গগনের অনিমেষ জাগ্রত চাঁদের পানে
                মুক্ত দুটি বাতায়নদ্বার
ব্যক্ত_প্রেম
     সেই কুহরিত পিক শিরীষের ডালে,
   প্রভাতে সখীর মেলাকত হাসি কত খেলা

         কে জানিত কী ছিল  প্রাণের আড়ালে।


        বসন্তে উঠিত ফুটে বনে বেলফুল,

  কেহ বা পরিত মালাকেহ বা ভরিত ডালা,

         করিত দক্ষিণবায়ু অঞ্চল আকুল।
গুপ্ত_প্রেম
  তবে পরানে ভালোবাসা কেন গো দিলে
            রূপ না দিলে যদি বিধি হে!

    পূজার তরে হিয়া উঠে যে ব্যাকুলিয়া,

            পূজিব তারে গিয়া কী দিয়ে!


   মনে গোপনে থাকে প্রেমযায় না দেখা,

            কুসুম দেয় তাই দেবতায়।

    দাঁড়ায়ে থাকি দ্বারেচাহিয়া দেখি তারে,

            কী লে আপনারে দিব তায়?

বঙ্গবীর
     দুই ভাই মোরা সুখে সমাসীন,

     মেজের উপরে জ্বলে কেরাসিন,

     পড়িয়া ফেলেছি চ্যাপ্টার তিন

           দাদা এমেআমি বিএ।

1 comment: