Thursday, November 17, 2016

শহীদুল্লাহ কায়সারের জীবন ও সহিত্য

শহীদুল্লাহ কায়সারের জীবন সহিত্য আলোচনা কর।
শহীদুল্লা কায়সার (জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) একজন বাঙালি লেখক বুদ্ধিজীবী। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লা[] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার স্থানীয় সহযোগী আল-বদরের হাতে অপহৃত হন। ধারণা করা হয় যে, অপহরণকারীদের হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[]
জন্ম শিক্ষাজীবন
শহীদুল্লা কায়সার ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার মাজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তাঁর বাবার নাম মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ এবং মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন 'সরকারী মডেল স্কুলে' এবং পরে 'মাদ্রাসা--আলিয়া' অ্যাংলো পার্সিয়ান বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ১৯৪২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন৷ তারপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি ভর্তি হন 'প্রেসিডেন্সি কলেজে' ১৯৪৬ সালে তিনি এখান থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন এবং অর্থনীতিতে এমএ পড়ার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷ একই সাথে তিনি 'রিপন কলেজে' (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) আইন বিষয়ে পড়াশুনা শুরু করেন৷ ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তাঁর বাবা ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে এমএ ভর্তি হন৷ তবে ডিগ্রী লাভ করার আগেই পড়াশোনার সমাপ্তি ঘটান।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
শহীদুল্লা কায়সার ১৯৫৬ সালে কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিচালিত 'সাপ্তাহিক ইত্তেফাক' পত্রিকায় যোগদান করেন৷ এভাবেই তিনি যুক্ত হন সাংবাদিকতায়। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৮ সালে 'দৈনিক সংবাদ'-এর সম্পাদকীয় বিভাগে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন৷ ১৯৫৮ সালের  অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক আইন জারি হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ১৪ অক্টোবর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ জননিরাপত্তা আইনে তাঁকে পর্যায়ে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত আটক রাখা হয়৷ মুক্তি লাভ করেই তিনি 'দৈনিক সংবাদ'-এর সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন৷ 'সাপ্তাহিক ইত্তেফাক' পত্রিকা থেকে সাংবাদিক জীবনের হাতেখড়ি হলেও তাঁর সাংবাদিক জীবনের সমস্ত কৃতিত্ব পরিচিতি 'দৈনিক সংবাদ'-কে ঘিরে আবর্তিত৷
রাজনৈতিক ভূমিক
শহীদুল্লা কায়সার সমসাময়িক রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। বামরাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কারণে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি দেশপ্রেমিক ছদ্মনামে রাজনৈতিক পরিক্রমা  বিশ্বকর্মা ছদ্মনামে বিচিত্রা কথা শীর্ষক উপ-সম্পাদকীয় রচনা [] আমৃত্যু তিনি কমিউনিস্ট পরিচয় বহন করেছেন।
সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা
·         রাজবন্দীর রোজনামচাস্মৃতিকথা (১৯৬২)
·         পেশোয়া থেকে তাসখন্দ(১৯৬৬) ভ্রমণবৃত্তান্ত
সত্যেন সেন এর সাহিত্য জীবন সম্পর্কে একটি নাতি দীর্ঘ রচনা কর।
সত্যেন সেন (২৮ মার্চ, ১৯০৭- জানুয়ারি, ১৯৮১), প্রগতি লেখক শিল্পী সংঘ, উদীচী সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা [], ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি বিপ্লবী, সাহিত্যিক, শ্রমিক সংগঠক।

কৈশোর[সম্পাদনা]

সত্যেন সেন ১৯০৭ সালের মার্চ ২৮ তারিখে বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার) টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামের সেন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় ডাক নাম ছিল লস্কর। তার পিতা নাম ধরনীমোহন সেন, এবং মাতার নাম মৃণালীনি সেন। চার সন্তানের মধ্যে সত্যেন ছিল সর্বকনিষ্ঠ। সোনারং গ্রামের সেন পরিবার ছিল শিক্ষা সংস্কৃতি চর্চার এক অনন্য উদাহরণ। সত্যেনের কাকা ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তার আর এক কাকা মনোমোহন সেন ছিলেন শিশুসাহিত্যিক। সত্যেন সেনের পরিবারেই তার পড়াশোনার হাতেখড়ি হয়। প্রাইমারী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনাও পরিবার গৃহ শিক্ষকের কাছেই সম্পন্ন করেছিলেন। ১৯১৯ সালে সোনারং হাইস্কুলে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ১৯২১ সালে তিনি যখন সোনারং হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তখন থেকেই তার মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ লাভ করে। ১৯২৪ সালে সোনারঙ হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতায় কলেজে ভর্তি হন।এবং সেখানকার একটি কলেজ থেকে এফএ বিএ পাস করেন। এর পর তিনি কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস বিভাগে এমএ শ্রেণীতে ভর্তি হন। কিন্তু বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে ১৯৩১ সালে কারাবরণ করলে জেলে থেকেই তিনি বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি যুক্ত হন বিপ্লবী দল যুগান্তরের সাথে। ছাত্র অবস্থায় ১৯৩১ সালে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রথম কারাবরণের বাধ্য হন। বহরমপুর বন্দি ক্যাম্পে থেকেই শুরু হয় তার জেলজীবন। সময় তিনি মাস জেলে ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লববাদী আন্দোলনের যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনি ১৯৩৩ সালে দ্বিতীয় বার গ্রেফতার হন। সময় তাঁর বছর জেল হয়। সত্যেন সেন ১৯৩৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। ওই বছর শান্তিনিকেতন থেকে তাঁকে দেয়া হয়গবেষণা বৃত্তি ১৯৪২ সালের মার্চ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এক সমাবেশে শহীদ হন ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবী কথা শিল্পী সোমেন চন্দ সময় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সত্যেন সেন কার্যকারী দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৩ সালের মহাদুর্ভিক্ষ মোকাবিলায়কৃষক সমিতি মাধ্যমে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কৃষক সমিতির নেতা-কর্মীকে নিয়ে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় কাজ করেন। ১৯৪৬ সালে আইন সভার নির্বাচনে কমিউনিষ্ট নেতা ব্রজেন দাস ঢাকা থেকে প্রার্থী হন। ব্রজেন দাসের পক্ষে সত্যেন সেন নির্বাচনী প্রচারণা চালান। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন ভারত সৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ সালে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। ১৯৪৯ সালে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য তাঁকে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী গ্রেফতার করে। আবার দীর্ঘ কারাভোগ। ওই সময় কারাগারে কমিউনিষ্টদের প্রতি নানা অত্যাচার নির্যাতনে মাত্রা ছিল অনেক বেশী। কমিউনিষ্ট পেলেই বেশি অত্যাচার শুরু করে দিত। সত্যেন সেনকেও কারা প্রশাসন নানা অত্যাচার নির্যাতন করে। যার ফলে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা চোখের পীড়া দেখা দেয়। কারাবাসে অবস্থানকালে সত্যেন সেন মার্কসবাদী-লেনিনবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হন। মতাদর্শ দর্শনকে জীবনাদর্শন হিসেবে গ্রহণ করে আজীবন শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে ১৯৫৩ সালে মুক্তি পেয়ে নিজ গ্রাম সোনারাংয়ে ফিরে আসেন। ওই সময় নানা প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তাদের পরিবারের সবাই নিরাপত্তার কারণে কলকাতায় পাড়ি জমান। তিনি সময় যুক্ত হন কৃষক আন্দোলনের সাথে। ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। তবে তিনি প্রত্যক্ষভাবে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এক পর্যায়ে তাঁর চোখের পীড়া আরো গুরুতর রূপ নেয়। তিনি প্রায় অন্ধ হতে চলেন। সময় কমিউনিষ্ট পার্টি তাঁকে চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য মস্কো পাঠায়। এখানে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন দেশের বিপ্লবীদের পরিচিত হন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। তাঁরাও স্ব-স্ব দেশে গিয়ে বাংলাদেশের প্রতি সহনাভূতি জানান। মস্কো হাসপাতালে অবস্থানকালে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সংবাদ পান। সেখানকার বাঙালিদের মুক্তির উল্লাস প্রত্যক্ষ করেন। তিনি নিজেও অশ্রুসিক্ত নয়নে ওই আনন্দ উপভোগ করেন। মুক্ত, স্বাধীন স্বপ্নের স্বদেশ, বাংলাদেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালে।

উদীচী[সম্পাদনা]

১৯৬৯ সালে বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লাহ কায়সারসহ একঝাঁক তরুণ[] উদীচী গঠন করেন। জন্মলগ্ন থেকে উদীচী অধিকার, স্বাধীনতা সাম্যের সমাজ নির্মাণের সংগ্রাম করে আসছে। উদীচী৬৮, ’৬৯, ’৭০, ’৭১, সালে বাঙালির সার্বিক মুক্তির চেতনাকে ধারণ করে গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। []  সংগ্রাম গ্রাম-বাংলার পথে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। সময় উদীচীর কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এদেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক ধারার সংস্কৃতি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সত্যেন সেনের সৃষ্টিকর্ম  সাহিত্য হলো সমাজ বাস্তবতার স্পষ্ট প্রকৃতি-স্বরূপের প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনের সকল কিছুতেই মৌলিক বিষয় হিসেবে কাজ করেছে মানুষের জীবন-সংগ্রাম শ্রম-সভ্যতার ইতিহাস। স্বাধীনতার পর তিনি উদীচী পুনর্গঠনের কাজ করেন। সাহিত্য চর্চাও অব্যহত রাখেন। গান মাধ্যমে মানুষকে জাগরিত করা সহজ। এই উপলব্দি নিয়ে গণমানুষের জন্য মানুষের জীবন বাস্তবতার গান রচনা করেছেন। তাঁর গানের মূল বিষয়বস্তু হলো অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, শোষণমুক্তির জন্য আন্দোলন সাম্য-সুন্দর মানুষের পৃথিবী নির্মাণ। গান রচনার মাধ্যমেই মূলত তাঁর লেখালেখি জগতে আশা। পাশাপাশি গানের সুর করা গান শেখানোর কাজও তিনি করেছেন। শ্রমিকদের নিয়ে তিনি তাঁদের নিয়ে গান এবং পালা রচনা করতেন। গানের দল গঠন করে শ্রমিকদের কবিগান তিনি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ পরিবেশন করতেন। তার লেখা ১১টি গানের মধ্যেচাষি দে তোর লাল সেলাম/তোর লাল নিশানারেগানটি তখন চাষিদের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৫৬ সালে বিক্রমপুরের ষোলঘরে কৃষক সমিতির সম্মেলনে প্রথম তারই নেতৃত্বে গানটি গাওয়া হয়। এছাড়া সত্যেন সেন গানের মাধ্যমে বরিশালে মনোরমা বসু মাসিমারমাতৃমন্দিরেরজন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। সত্যেন সেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের বাঁকে তিনি কোথাও আপোস করেননি। যারা করেছে, তাঁদেরকে তিনি ঘৃণা করতেন। তিনি মূলত কোনো লেখাই লেখার জন্য লিখতেন না। তিনি লিখতে মানূষের অধিকারের কথাগুলো। প্রথমে দৈনিকমিল্লাতপরবর্তী সময়ে দৈনিকসংবাদ মাধ্যমে সত্যেন সেন সাংবাদিকতা করেছেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

কিন্তু ১৯৭৩ সালে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। চিকিৎসার জন্য চলে যান ভারতে। আশ্রয় নেন শান্তি নিকেতনের মেজদিদি প্রতিভা সেনের কাছে। সাহিত্য চর্চা অসুস্থতার মাঝে চলে যায় ৮টি বছর। শান্তি নিকেতনের গুরুপল্লীতে ১৯৮১ সালে জানুয়ারি তিনি মারা যান।

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

সত্যেন সেনের সাহিত্যকর্ম সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার একটি নিদর্শন এবং বাংলা সাহিত্যের অনন্য পথিকৃৎ। মানুষের জীবন ইতিহাসকে যে রচনাকার সামগ্রীকভাবে অবলোকন করতে সক্ষম না হন, যিনি মানব সমাজটাকে তার বর্তমানের সকল বৈষম্য দূর করে সঙ্গতিপূর্ণ এক মানব সমাজ সৃষ্টিতে নিজেকে উৎসর্গ না করেন এবং যিনি দূরগামী সেই লক্ষ্যকে নিত্য মুহূর্তের কর্ম আচরণের সঙ্গে যুক্ত করতে না পারেন, তাঁর পক্ষে সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার অনুপ্রেরণাদায়ক সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব নয়।
·         উপন্যাস ভোরের বিহঙ্গী (১৯৫৯)
·         রুদ্ধদ্বার মুক্ত প্রাণ (১৯৬৩)
·         অভিশপ্ত নগরী(১৯৬৯)
·         পাপের সন্তান (১৯৬৯)[]
·         সেয়ান (১৯৬৯)
·         পদচিহ্ন (১৯৬৯)
·         পুরুষমেধ(১৯৬৯)
·         আলবেরুনী(১৯৭০)
·         সাত নম্বর ওয়ার্ড(১৯৭০)
·         বিদ্রোহী কৈর্বত(১৯৭০)
·         কুমারজীব(১৯৭০)
·         অপারেজয়(১৯৭০)
·         মা(১৯৭০)
·         উত্তরণ(১৯৭০)
·         একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে (১৯৭১)

ইতিহাস আশ্রিত গল্প-উপন্যাস-সাহিত্য[সম্পাদনা]

·         গ্রামবাংলার পথে পথে (১৯৬৬)
·         আমাদের পৃথিবী (১৯৬৮)
·         মসলার যুদ্ধ (১৯৬৯)
·         এটোমের কথা(১৯৭০)
·         অভিযাত্রী (১৯৭০)
·         মানবসভ্যতার উষালগ্ন (১৯৭১)
·         মনোরমা মাসিমা (১৯৭১)
·         প্রতিরোধ সংগ্রামে বাংলাদেশ (১৯৭১)
·         বিপ্লবী রহমান মাষ্টার (১৯৭৩)
·         সীমান্ত সূর্য আবদুল গাফফার (১৯৭২)
·         জীববিজ্ঞানের নানা কথা (১৯৭৭) ইত্যাদি।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

·         ১৯৬৯ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার
·         ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার
·         ১৯৮৬ সালে সাহিত্য মরণোত্তর একুশে পদক



No comments:

Post a Comment