Thursday, December 22, 2016
নূরন্নাহার এর চরিত্র আলোচনা কর।
নূরন্নাহার
এর চরিত্র আলোচনা কর। মীর মশাররাফ হোসেন এরজমীদার দর্পন
নাটকের কেন্দ্রীঢ চরিত্র হচ্ছে নূরুন্নেহার। তাকে
অবলম্বন করেই কাহিনীর সূচনা ও সমাপ্তি। নূরুন্নেহার চরিত্রটি অতন্ত্য বাস্তব
এবং বলিষ্ঠ,নুরুন্নেহার
চরিত্রটিতে নূরুন্নেহার ছিলো, কমলমতি, একজন নারী, স্বমী, সংসার, পেমময়ী পত্নী, মাতৃত্বের
আভা, সতীত্য,ভিক্ষুকে ভিক্ষা দান, সব কিছুতেই বচিক্ষণ এবং আদর্শ নারী চরিত্র।নূরুন্নেহারের
সরলতার বহু দৃষ্টান্ত নিতান্তই মর্মময়ী।“’আমি আপনার মেয়্ আপনি আমার বাপ। আমার
কাপড় অসামাল হলো, কপড় পরি ছেড়ে দিন।“”তার এ সরল
হৃদয়ের উক্তি গুলো বলে দেয সে ঐ সমাজে ছিলো নিরীহ, নি:স্পেষিত, ক্নিতু অত্যাচার অন্যায়ের
সামন সামনি হয়ে পতিবাদ করার মত ইচ্ছ শক্তি তার ছিলনা।মুহহীন/লোভহীননূরুন্নেহার
যে অসাধারন চরিত্রের অধিকারি তা আমরা হায়-ওয়ান আলীর উক্তি হতে পাই-“”তোমরা বোধ কর সামান্য, কিন্তু আমি
বেড়িয়ে চেড়িয়ে দেখেছি, স্বভাবে চরিত্র যতদূর জেনেছি তাতে বোধ হয় সেটি অসামান্য।“”গ্রমীন সহজ সরল নারী হিসেবে তার চরিত্রের সতীত্ব সচেতন একজন দ্রড় চিত্ত রমনী। ভয় ভীতি বা প্রলোভন কোন কিছুর
কাছে সে আত্নসমর্পন করেনি। হায়- ওয়ান আলী তাকে প্রলুব্ধ করেছে বিভিন্ন ভাবে কিন্তু
তাতেও সফল হয়নি।“টাকার লোভ দেখিয়েছি, কত গওনার লোভ
দেখিয়েছি, কিছুতেই ভোলেনা।“”কৃষ্ণমনি
নূরুন্নেহারকে হায়ওয়ান আলীর বৈঠক খানায় গিয়ে তার মনোরন্জনের প্রস্তাব ও পরামর্শ দিলে
তখনও নূরুন্নেহার সতীত্বরক্ষায় ব্যাকুল। সতীত্ব রক্ষায় সে জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে
প্রস্তুত। তথাপি শেষ পর্যন্ত সে লম্পট জমীদারে হাত হতে রক্ষা পায় নি।“” হা খোদা! আমার কপালে এই ছিলো। নারীকূলে
জন্ম নিয়ে সতীত্ব রক্ষা করতে পাল্লেম না। হায় এই জন্যই কি আমার জন্ম হয়েছিল। জন্মেই
কেন মরে গেলাম না। তা হলে এই লান্ছনা সইতে হতো না।…. হায় হায় জাত গেল, দেশ জুড়ে কলঙ্ক
হলো, প্রানও গেলো..।“”সতীত্ব রক্ষায়
তার এ দৃঢ়তা তাকে অনেকটাই সার্থক করেছে কারন সে যদি সতীত্বকে বিকিয়ে দিয়ে জমিদার হায়ওয়ান
আলীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতো তাহলে ঘটনার বিস্তার সঙকীর্ন হয়ে আসতো বা ঘটনার ধারা পরিবর্তন
হয়ে যেত ঝলে জমিদারদের জরিত্রটা প্রকাশ পেত না। এখানেই মীর মশাররফ হুসেনের সার্থকতা
বলতে হবে।কোমল নারী
হৃদয়ে যে মাতৃত্বের আভা সে বিয়য় চিত্ত স্বল্প পরিসরে নুপুন্নেহারের মধ্যদিয়ে ফুটিয়ে
তুলেছেন মীর মশাররফ হুসেন।‘’শুধুযে আমারই প্রান
গেল তা নয়। পেটেযে একটা ছিল তারও গেলো।“
উপসংহার: চরিত্রে নারীধর্মের বৈশিষট্য পতিফলিত।
কামনা লালসার শিকার বঙ্গরমনীর এক প্রতীক চরিত্র।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment