উপন্যাস (ইং:Novel) গদ্যে লেখা দীর্ঘাবয়ব বর্ণনাত্মক কথাসাহিত্য। কবিতা, নাটক ও ছোটগল্পের ন্যায় উপন্যাস সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা। আধুনিক সাহিত্যে এটি তুলনামূলকভাবে নতুন আঙ্গিক। যিনি উপন্যাস রচনা করেন তিনি ঔপন্যাসিক।
উপন্যাস লেখার নির্দিষ্ট নিয়ম বা কাঠামো নেই। তবে সচরাচর এগুলো ছোটগল্পের তুলনায় বৃহদাকার হয়ে থাকে। অধিকন্তু উপন্যাসের আখ্যানভাগ ও চরিত্রের বিস্তার লক্ষিত হয়। হ্রস্ব দৈর্ঘ্যের উপন্যাসকে অনু-উপন্যাস বা ইংরেজীতে নভেলা (ইং:Novella) বলা হয়ে থাকে।
উপন্যাস বর্ণনাত্নক শির্প কলা। উপন্যাসের মূল্য উপাদান
জীবন ও জীবনের প্রবৃত্তি। সুখ দু:খ হাসি কান্না আর ব্যথ আনন্দময় যে মানুষ, উপন্যাস
সেই মানুষের জগত। david Cecil বলেছেন A novel is not only a record of facts
objectively observed life, a scientific text book, but of facts, seen
objectively through the temperament of the writer.
পাচটি বিশেষ অবস্থা বা স্তর সাধারণত উপন্যাসে থাকে। এই
পাচটি স্তর অতিক্রম করে মূল কাহিনীর গটনাপ্রবাহ ও চরিত্র বিশ্লেষণের ভেতর দিয়ে। লক্ষণীয়
যে এ পাচটি বিশেষ অবস্থা বা স্তর আবদুল্লাহ উপন্যাসে ও রয়েছে।
১. প্রস্তাবনা- সূচনা অংশ, উপন্যাসের কাহিনী পীরগন্জে ও
একবালপুরের গ্রামীণ পটভূমিকায় উল্লেখিত হয়েছে।
২. সমস্যার সংস্থাপনা- এই স্তরে লেখক পিতার মৃত্যুতে সংসারে
অভাব-অনটনের পরিপেক্ষিতে আবদুল্লাহর শ্বশুর সৈয়দ সাহেবের সংগে আদুল্লাহর বিরোধ সংক্রান্ত
সমস্যা তুলে ধরেছেন্
৩. আখ্যানভাগের মধ্যে জটিলতার প্রবেশ:- অর্থ সাহায্য প্রার্থনা ও ব্যর্থতা, আবদুল কাদেরের
ইংরেজী শিক্ষালাভের হেতু ত্যাজ্যপুত্র করা, কূট
কৌশল, পীরভক্তি জনিত ধর্মঅন্ধতা ও অন্ধ বিশ্বাস এই স্তর বিন্যাসে সুন্দর ভাবে
চিত্রিত করেছেন।
৪. চরম সংকট মুহূর্ত- সালেহাকে রসূলপুর আনার ব্যাপারে আবদুল্লাহর
ব্যর্থতা এবং সু চিকিৎসার অভাবে সালেহার মৃত্যু ধর্মঅন্ধতা এবং অযৌক্তিক প্রথার বিশ্বাসের
কারণে ঘটেছ।
৫. সংকট বিমোচন- সালেহার মৃত্যুর পর মীর সাহেবের আশ্রিতা মালেকাকে বিবাহ করার মত মহত্ব,
ঋণের টাকা মাফ করে দেওয়ার মধ্যে হরনাথ বাবুর
উদারতায় সংকট বিমোচন।
যথার্থ উপন্যাসের মধ্যে যে কটি দিকের একান্ত আবশ্যক সেগুলো
হলো
ক. অ্যাখ্যান ভাগ খ, চরিত্র চিত্রণ, গ. পরি বেশ কল্পনা,
ঘ, বাণীভঙ্গি। এগুলোর যথাযথ লালন কাজী ইমদাদুল হকের “আবদুল্লাহ” উপন্যাসেও আছে।
উপন্যাস কাকে বলে?
ReplyDelete