কাজী
ইমদাদুল হকের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি আবদুল্লাহ। সমাজ চিত্র বিধৃত ‘আবদুল্লাহ “ উপন্যাসটির
মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র আবদুল্লাহ। লেখক আবদুল্লট্হ চরিত্রটি অং্কনের পটভূমিকায় তার উদ্দেশ্য
ও লক্ষ্যস্তির করেছেন। ইমদাদুল হক মুসলিম সমাজে আধূনিক জীবনের বিকাশের পথ করেছেন প্রশস্ত।
উপন্যাস
মূলত বর্ণনাত্নক শিল্পকলা। উপন্যাসের কাহিনী বর্ণনার সংগে সংগে ঔপন্যাসিক সাধারণত কল্পনার
ভিতর দিয়ে চরিত্রগুলোকে চিত্রিত করে থাকেন। আবদুল্লাহ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র যেমন-
আবদুল্লাহ, সৈয়দ আবদুল কুদ্দুস, আবদুল কাদের, মীর সাহেব, সালেখা, হালিমা , ডাক্তার
দেনাথ সরকার, সকলেই ঔপন্যাসিকের কল্পনা ঐশ্বর্যের ভিতর দিয়ে স্পষ্ট রূপ লাভ করেছে।
অপ্রধান চরিত্রগুলোকে সামাজিক পটভূমিকায় অনুষঙ্গ চরিত্র হিসেবেই মনে হয় – মনে হয় তারা
সবাই আমাদের পরিচিত পরিমন্ডলের মানযুষ।
উপন্যাস
শিল্পের সাধারণ নিয়ম অনুসারে ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসচিতেও লেকক এই ধরণের চরিত্র সৃষ্টি
করেছন।
আবর্তিত
চরিত্র- যে চরিত্র সাধারণভাবে ঘটনাপ্রবাহে প্রবাবান্বিত হয়ে থাকে, সে সব চরিত্রকে আবর্তিত
চরিত্র বলে।
সমপ্রসারিত
চরিত্র- বোন নির্দিষ্ট প্রয়োজনেই যে সব চরিত্রের আগমন ও নিষ্ক্রমণ, সে সব চরিত্রকে
সম্প্রসারিত চরিত্র বলে।
আলেচ্য
আবদুল্লাহ উপন্যাসে লেখক তৎকালীন মুসলিম সমজ জীবনের যে চিত্র অন্কন করতে চেয়েছেন চরিত্রগুলো সেই সমজ জীবনের প্রতিবিম্ব হয়ে ফুটে
বের হয়েছে। মুসলিম সমাজ জীবনের পাশাপাশি হিন্দু সমাজের চিত্রকেও লেখক তুলে ধরেছেন ।
চরিত্রকে অবলম্বন করেই সাধারণত উপনর্যাসের কাহিনীর বিস্তার ও রস পরিণতি ঘটে থাকে।
No comments:
Post a Comment