ইমাম মালিক ইবনে আনাস ইবনে মালিক ইবনে

ইমাম মালিক ইবনে আনাস ইবনে মালিক ইবনে আবি আমির আল-আসবাহি (আরবি ভাষায়: مالك بن أنس‎) (জন্ম: ৭১১ খ্রিস্টাব্দ/ ৯৩ হিজরী - মৃত্যু: ৭৯৫ খ্রিস্টাব্দ/ ১৭৯ হিজরী) একজন বিখ্যাত হাদিস বিশারদ এবং ফিকহের অত্যন্ত সম্মানিত পণ্ডিতদের একজন ছিলেন। তিনি মুসলমানদের প্রধান চার ইমামের একজন। মালেকী মাযহাব তাঁরই প্রণীত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। তাঁর সংকলিত মুয়াত্তা বিখ্যাত এবং প্রাচীনতম হাদীসগ্রন্থ

ফিকহ (আরবি ভাষায়: الفقه) হলো ইসলামি আইনশাস্ত্র,^[১] যা অধ্যয়নের মাধমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জানা যায়।^[২] কুরআন ও হাদীসের মৌলিক বিধানগুলোর যে প্রায়োগিক রূপ হলো ফিকহ শাস্ত্র। বাংলা ভাষায় এটিকে ফেকাহ, ফেকাহশাস্ত্র এবং ইলমুল ফিকহ-ও বলা হয়।ফিকহ একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো উপলব্ধি করা, গভীরভাবে কিছু বুঝতে পারা, অনুধাবন করা, সূক্ষ্মদর্শিতা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় ফিকহ হলো এমন শাস্ত্র, যার মাধ্যমে ইসলামের উৎসমূহ তথা কুরআন ও হাদীস থেকে বিস্তারিত প্রমাণসহ ব্যবহারিক জীবনের বিভিন্ন বিধি-বিধান ও ইসলামি সমাধান জানা যায়। ফিকহ শব্দটি এই অর্থেই বেশি প্রসিদ্ধ। তবে বর্তমানে আরবি ভাষায় আইনশাস্ত্রকেই ফিকহ বলা হয়, সেটা ইসলামি আইনশাস্ত্র হোক অথবা অন্য কোন আইনশাস্ত্র হোক।^[৩]

ইজমা (إجماع) একটি আরবি শব্দ। এ দ্বারা মুসলিমদের কোনো বিষয়ে আলেমদের ঐকমত্যকে বোঝানো হয়। বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামি আইনজ্ঞরা তাদের মতামতের ক্ষেত্রে একমত হলে তাকে ইজমা বলা হয়। ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান ইজমা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। শরিয়া অণুযায়ী উলামাদের ইজমা রয়েছে এমন বিষয় কারো অমান্য করার সুযোগ নেই।

“আমার উম্মাহ কোনো ভুল বিষয়ে একমত হবে না” – মুহাম্মদ (সা) এর এই হাদিসটি ইজমার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।^[১] সুন্নিরা ইজমাকে কুরআন ও হাদিসের পর ইসলামি আইনের তৃতীয় উৎস হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

শরিয়াহ , (আরবি ভাষায়: شريعة‎ (আইপিএ: [ʃaˈriːʕa])) ।

শরিয়াহ এর সংজ্ঞাঃ

এমন সুদৃঢ় ও সুস্পষ্ট পথ, যা অনুসরন করলে মানুষ সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে নিজ গন্তব্যে পৌছতে পারে। ^[১]

ইসলামিক পরিভাষায় শরিয়াহঃ

ইসলামি কার্যনীতি বা জীবনপদ্ধতিকে শরিয়ত বলা হয়। অন্যকথায়, ইসলামি আইন কানুন বা বিধি-বিধানকে একত্রে শরিয়াহ বলে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) যেসব আদেশ-নিষেধ ও পথ নির্দেশনা মানুষের জীবন পরিচালনার জন্য প্রদান করেছেন তাকে শরিয়ত বলে।^[২]

ইজতিহাদ (আরবি ভাষায়: اجتهاد‎ ijtihād, "diligence") একটি ইসলামি পরিভাষা। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে উলামাদের গবেষণাকে ইজতিহাদ বলা হয়। ইসলামি আইনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ইজতিহাদের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইজতিহাদে সক্ষম ব্যক্তিকে মুজতাহিদ বলা হয়। মুজতাহিদ ব্যতিত অন্য ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তাকলিদ করা বিধান। কুরআন, হাদিস ও অন্যান্য গবেষণালব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করে মুজতাহিদ তার মতামত দিয়ে থাকেন। কুরআন ও হাদিসে সরাসরি উল্লেখ নেই এমন বহু আইন ইজতিহাদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে।