1.
ইডিপাস
চরিত্র আলোচনা কর।
সফোক্লিসের
ইডিপাস উপরর্যুক্ত চরিত্রগুলোর মধ্যে অনন্য্ এমন প্রণবন্ত আবেগময় আশ্চর্য জীবন্ত চরিত্র
সমগ্র বিশ্বসাহিত্যে দুর্লভ। আবেগের গভীরতাই চরিত্রের অভিজ্ঞান। গভীর আবেগের ফলেই চরিত্রচি
বিশেষভাবে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছ্
নিঃসন্তান পলিবাসের অপত্যে লালিত নিয়তির
সন্তান: বাল্যে পিতামাতা
কর্তৃক বঞ্চিত অথচ পরিত্যক্ত, নিঃসন্তান পলিবাসের অপত্যে লালিত নিয়তির সন্তান ইডিপাস্
সম্মন ও সৌভাগ্যে স্ফীত, বিপদে স্থির ও তা প্রতিহত করতে উদ্যত, অন্যায়ের প্রতিবিধান
করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কলংকিত াতীত জানতে পেরে গ্লানি উ অনুশোচনায় মূহ্যমান ইডিপাস। এমন
জীবন্ত জরিত্র শুধু গ্রীক নচ্যসাহিত্য কেন, বিশ্ব নাট্যসাহিত্যে বিরল---- অতুলনীয়।
সাধারণ মানুষ ইডিপাস:
ইডিপাস দোষে-গুণে সাধরণ মানুষ। সে অশেষ প্রতিপত্তিশালী হলেও সধারণ মানুষসুলভ
ত্রূটি-বিচ্যুতির উর্ধ্বে নয়। সে সন্দেহপরায়ণ,
ঈর্ষাতুর, বদমেজাজী, অসংযতবাক, ক্রোধদীপ্ত এবং হঠকারী্ তার দৃষ্টি কখনো তীক্ষ্ন, কখনো
অস্বচ্ছ। দৃষ্টির একাগ্রতা সত্ত্বেও সে একদেশদর্শী্ দোষে-গুণে ভাল-মন্দ মেশানো এক সাধারণ
মানুষ ইডিপাস। সে স্বর্গের দেবতা বা দানব নয়।
থীবিসের আধিবাসীসের আনুগত্য: সাধারণ মানুষ ইডিপাস. থীবিসের আধিবাসীসের
গভীর আনুগত্য ও একনিষ্ঠ শ্যদ্ধা তার প্রতিা তাদের বিশ্বাস ইডিপাসের কাছে তাদের সকল
বিপদের অবসান ঘটবে, কেননা একদা ময়াময়ী স্ফিংসের প্রহেলিকা ভেদ ও প্রা ণ সংহার করে ইডিপাস
থীবিসের ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষা করেছিল। তাই মহমারী ও ধ্বংসোনুংখ দেশকে রক্ষা করতে
তারা এসেছে ইডিপাসের কাছে।
ধ্বংসোনু থীবিসের বেদনায় ইডিপাস বেদনার্ত:
থীবিসের বেদনায় ইডিপাস
বেদনার্ত। সে নিজের বেদনা এবং থীবিসবাসীর বেদনা একত্রে ভোগ করেছ্ বেদনা তাকে আকুল করে
তুলেছে কিন্তু গ্রাস করে নি।
দায়িত্বশীল ও কর্তব্যজ্ঞান সম্পন্ন
ইডিপাস: এ্যাপোলোর
দৈববাণী অনুসারে দায়িত্বশীল ও কর্তব্যজ্ঞান সম্পন্ন ইডিপাস হত্যাকরীকে খুজে বের করতে
তৎপর হয়ে ওঠে।
বদ্ধপরিকর: কর্তব্যভার তার উপর ন্যস্ত বলে দেবতার
জন্য এবং দেশের জন্য এ কলংককৃত হত্যার প্রতিশোধে সে বদ্ধপরিকর। অজ্ঞাতনামা লেয়াসের
হত্যাকারীর প্রতি ইডিপাস কঠোার নির্দেশ দিয়েছে।
বুদ্ধিমাত্তাপূর্ণ:
অপদেবতা স্ফিংসের প্রশ্নের জবাব দেওয়ায় তার মধ্যেকার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।
সফোক্লিস
‘ইডিপাস’ নাটকে ইডিপাস চরিত্রে যে ভয়ংকর পরিণতি সৃষ্টি করেছেন তাতে ইডিপাসের প্রতি
আমাদের যেমন করুণা জন্মে, তেমনি ইডিপাসের পরিণতি আমেদের মনেও ভীতির সঞ্চারও করে।
ইডিপাস নিয়তি
নিয়ন্ত্রিত। সে নিয়তির সন্তান- নিয়তির শিকার। তার চরিত্রে সক্রিয়তার কেন ত্রুটি বা
দূর্বলতা ছিল না। জোকাস্টা তাকে আত্নস্ধান ও লেয়াসের হত্যাকারীর সন্ধানে প্রতিনিবৃত
করতে চেয়েছিল, কিন্তু ইডিপাস সত্যের মুখোমুখি
দাড়িয়েছে।
যে চরিত্র
নিয়তির নির্দেশে নিজের অজ্ঞাতে নিয়তিকে লঙ্ঘন করতে গিয়ে নিজের বাবাকে হত্যা করে, মা
এর পাণিগ্রহণ করে এবং যার মাতৃগর্ভে নিজের ঔরসে চার চারটি স্তান জন্মে, যে চরিত্র নিজের
চোখ উৎপাটিত করে মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষা করে এমন চরিত্র যদি ট্র্যাজেডি না হয় তবে বিশ্বে
আর কোন হতভাগা আছে যে ইডিপাসের মত ট্র্যাজিক ।
http://www.targetsscbangla.com/bangla-classicism#
Thanks..
ReplyDeleteলেখা টা সুন্দর
ReplyDeleteyes!!
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDelete